, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ব্রিজের স্লাব নির্মাণে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চটা

  • আপলোড সময় : ০৯-০৯-২০২৩ ০৮:৫০:০২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৯-২০২৩ ০৮:৫০:০২ অপরাহ্ন
ব্রিজের স্লাব নির্মাণে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চটা ছবি: সংগৃহীত
রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চটা দিয়ে স্লাব নির্মাণ করায় নির্মাণের কয়েক মাস পরেই ভেঙে পড়েছে পিরোজপুরের কাউখালীর একটি আয়রন ব্রিজ। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে নির্মাণ কাজের এই অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি ও ঠিকাদার একে অপরের ওপরে দোষ চাপাচ্ছেন।
 
জানা যায়, পিরোজপুরের কাউখালীর দুটি ব্রিজসহ বেশ কিছু পুরাতন কাজ মেরামতের জন্য এলজিইডি ২০২১-২২ অর্থ বছরে কাউখালী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ছয়টি কাজের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করে। যার ব্যয় ধরা হয় ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫শত টাকা। এর মধ্যে সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া খাল গোড়ায় নুরুল ইসলাম শরীফের বাড়ির সামনে একটি আয়রন ব্রিজের মেরামত কাজ করে পিরোজপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ।

কিন্তু নির্মাণের কয়েক মাস পড়েই ব্রিজের ওপরের স্লাবগুলোর কিছু অংশ ভেঙে যায়। রড দিয়ে এ স্লাবগুলো নির্মাণ করার কথা থাকলেও রডের পরিবর্তে ঠিকাদার ঢালাইয়ের ভেতর সুপারির চটা ব্যবহার করেছেন। দুই দিন আগে কয়েকটি স্লাব ভেঙে পড়লে মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার জনগণ এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দিন জানান, সরকার গ্রামের মানুষের জন্য টাকা খরচ করলেও ঠিকদার ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির জন্য এলাকার মানুষের ভোগান্তি হয়। ব্রিজের স্লাব নির্মাণে রডের পরিবর্তে সুপারির চটা দেয়ার জন্য স্লাবগুলো ভেঙে যাচ্ছে। যার কারণে মানুষের ব্রিজ পারাপারে ভয় করছে। 

এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ মিঞা জানান, যারা সরকারের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া রডের স্থানে সুপারি গাছের চটার ব্যবহার লজ্জাজনক। যা কাউখালীবাসীকে দেশের মানুষের কাছে ছোট করেছে। 

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল মোল্লা জানান, যারা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তবে নিমার্ণ কাজের দায়িত্ব পাওয়া মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. লাভলু খান জানান, তিনি কাজটি কাউখালীর এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সেখানে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও তারা মিলে কাজটি শেষ করে বিল নিয়ে নিয়েছে। তিনি এই কাজের বিষয়ে কিছুই জানেন না। 

কাউখালী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ব্রিজটি পুনসংস্কার করা হয়েছে। ব্রিজে  যে নতুন স্লাব দেওয়া হয়েছে তাতে সুপারি গাছের চটার কোনো ব্যবহার হয়নি। 
আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ

আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ